মালিবাগের বিএনপি নেতা সোহেল আটক
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে মালিবাগের একটি বাসা থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে বলে দাবি পরিবারের। তবে তাকে আটকের বিষয়টি পুলিশ এখনো নিশ্চিত করেনি। মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিলেট সফরে সঙ্গী ছিলেন সোহেল। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকায় ফিরে। এরপরই আটক করা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতাকে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, সোহেলকে ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামও সোহেলের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সোহেলের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ প্রায় দেড়শ মামলা রয়েছে। দীর্ঘ সময় কারাবাসের পর কয়েক মাস আগে তিনি সবগুলো মামলায় জামিন লাভ করেন। গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলায় তিন মামলা হয়েছে। তিন মামলাতেই সোহেলকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের সেই ঘটনার পর থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার চালাচ্ছে। প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে। পরে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, নির্বাহী সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হন।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা দিন ধার্য আছে। নেতিবাচক রায় আসতে পারে এমন আশঙ্কা বিএনপি নেতাকর্মীদের। রায়কে ঘিরে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
সরকারি দলের পক্ষ থেকে ওই দিন আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ খোকন রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যুবলীগও রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার চলছে বলে দাবি করেছে দলটি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা তাদের স্বাভাবিক অভিযান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই তা করা হচ্ছে।
No comments