সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহী সার্ভে ইন্সটিটিউটে হামলায় জড়িত ছাত্রনেতাদের বহিস্কার করা হচ্ছে

রাজশাহী সার্ভে ইন্সটিটিটে হামলায় জড়িত ছাত্রনেতাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বুধবার দুপুরে বিষয়টি সিল্কসিটি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূর-ফয়সাল আহমেদ প্রত্যয়সহ আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা রয়েছেন বহিস্কারের তালিকায়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সার্ভে ইন্সটিটিউটের সহকারী স্টোর কিপার জাহাঙ্গীর আলম সিটি কলেজের সামনের একটি দোকানে মুঠোফোনে রিচার্জ করতে যান। এ সময় দোকান মালিক মো. রানার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রানা তার কর্মচারিকে মারধর করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে ঘোষণা দেন।

পরে জাহাঙ্গীর কলেজে চলে আসেন। এরপরই রানা ও প্রত্যয়ের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক কলেজে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা তার কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলেন। কয়েকটি টবও ভাঙা হয়। এছাড়া কলেজের অফিস কক্ষের আলমারি ও চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র তছরুপ করা হয় বলে জানান অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান ।
হামলার ব্যাপারে কথা বলতে নগরীর রাজারহাতা এলাকায় রানার ‘শান্তি এন্টার প্রাইজ’ নামের দোকানটিতে গেলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ছাত্রলীগ নেতা নূর-ফয়সাল আহমেদ প্রত্যয় হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি হামলার ঘটনা দেখতে কলেজে গিয়েছিলেন। এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
পরে হামলায় জড়িত ওই ছাত্রনেতাদের বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় মহানগর ছাত্রলীগ।


আরও পড়ুন: রাজশাহী সার্ভে ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের হামলা, ভাঙচুর


তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতার্মীরা। হামলাকারীরা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ দুটি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন। ভেঙে ফেলা হয়েছে ফুলের টব, তছরুপ করা হয়েছে বিভিন্ন কাগজপত্র। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
হামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ হামলার জন্য রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূর-ফয়সাল আহমেদ প্রত্যয়কে দায়ি করছেন সার্ভে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান। তবে ছাত্রলীগ নেতা প্রত্যয় তা অস্বীকার করেছেন।
অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তার কলেজের সহকারী স্টোর কিপার জাহাঙ্গীর আলম সিটি কলেজের সামনের একটি দোকানে মুঠোফোনে রিচার্জ করতে যান। এ সময় দোকান মালিক মো. রানার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রানা তার কর্মচারিকে মারধর করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে ঘোষণা দেন।
পরে জাহাঙ্গীর কলেজে চলে আসেন। এরপরই রানা ও প্রত্যয়ের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক কলেজে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা তার কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলেন। কয়েকটি টবও ভাঙা হয়। এছাড়া কলেজের অফিস কক্ষের আলমারি ও চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলা হয়। তছরুপ করা হয় বিভিন্ন কাগজপত্র। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান অধ্যক্ষ।
হামলার ব্যাপারে কথা বলতে নগরীর রাজারহাতা এলাকায় রানার ‘শান্তি এন্টার প্রাইজ’ নামের দোকানটিতে গেলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ছাত্রলীগ নেতা নূর-ফয়সাল আহমেদ প্রত্যয় হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি হামলার ঘটনা দেখতে কলেজে গিয়েছিলেন। এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, হামলার খবর পেয়ে নগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

No comments