৮ ফেব্রুয়ারি ঘিরে সর্বত্র চাপা উৎকণ্ঠা
কী হবে ৮ ফেব্রুয়ারিতে? রাজনৈতিক অঙ্গনের এ প্রশ্ন গণপরিবহন, চায়ের আড্ডা, অফিস-আদালতে আপামর জনসাধারণের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। জেলে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া! তার কারাগারে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আবার কি ফিরে আসবে নাশকতা-নৈরাজ্যের ভয়াল রাজনীতি! এমন উৎকণ্ঠায় ছেয়ে গেছে গোটা দেশ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান দুটি দলের নেতাদের পাল্টা-পাল্টি উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে অস্থিরতা ও আশঙ্কা বিরাজ করছে। সর্বত্র চলছে ৮ ফেব্রুয়ারির গুঞ্জন!
৮ ফেব্রুয়ারিতে অঘোষিত হরতাল পালিত হবে বলে মনে করছেন গণপরিবহনের শ্রমিকরা। দেশে কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পরিবহন সেক্টরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য সরকারের কাছে পরিবহন সেক্টরের নিরাপত্তা দাবি করেন তারা।
ল্যামস পরিবহনের চালক নেয়ামুর বলেন, কোনো কোনো মালিক বলছে ওই দিন বেশি গাড়ি বের করা যাবে না। আবার কেউ কেউ গাড়ি বের করারও তাড়া দিচ্ছে। ওই দিন যদি গণ্ডগোল হয়, বাসের উপরই বেশি ঝামেলা হবে। গাড়ি বের করতে তাই ভয় পাচ্ছি। তবে সরকার ও মালিকরা নিরাপত্তা দিলে গাড়ি বের করব।
খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাদের হুমকির জবাবে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হলে পরিবহন সেক্টরের ওপর নাশকতামূলক ঘটনা ঘটে। ৮ তারিখ কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে আমরাও এবার ছেড়ে দেব না। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা নাশকতা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে।
সেদিন যদি হরতালও হয় তবুও গণপরিবহন চলাচল করবে বলে জানান মালিক সমিতির মহাসচিব। নিরাপত্তার জন্য শ্রমিকদের গণপরিবহনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও দুই বালতি বালু রাখার নির্দেশও দেন তিনি।
No comments