বিশ্বের সবচেয়ে দামী ১০ ফোন
ফোন যে শুধু যোগাযোগের মাধ্যম, তাই নয়। এটা আমাদের আভিজাত্য, শ্রেণী, রুচিবোধ-সবকিছুর পরিচয় দেয়। আমরা সাধারণেরা মূলত সর্বোচ্চ সর্বাধুনিক স্মার্টফোন, ট্যাব ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানিও না যে বিশ্বে কতো দামী ফোন আছে। সেগুলোর ধরণ, দাম শুনলে রীতিমত আঁতকে উঠতে হয়। এখন জেনে নেবো বিশ্বের সবচেয়ে দামী দশটি ফোনগুলো কী কী-
01-ডায়মন্ড রোজ আইফোন ফোর ঃএটিই বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ফোন। এই ফোনের ফ্রেম গোলাপি রংয়ের হীরা দিয়ে তৈরি। আর পুরো ফোনে প্রায় ৫০০টি হীরা ব্যবহার করা হয়েছে। ডায়মন্ড ফোরের এই ফোনের পেছনে গোলাপী রঙের স্বর্ণ এবং সামনের অংশটি প্লাটিনাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপলের নেভিগেশন কি তে প্লাটিনামের ফ্রেমের মাঝখানে গোলাপি একটি হীরা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর অ্যাপলের লোগোটিতে আছে ৫টি হীরার টুকরো। ভাবুন একবার, ফোনটি দেখতে বাস্তবে তাহলে কতো সুন্দর! আর দামও ধরা হয়েছে তেমনি, ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বা ৬৮ কোটি টাকারও বেশি।
02-গোল্ডস্টিকার আইফোন থ্রিজি ঃ এই ফোন সর্বপ্রথম বাজারে আসে ২০০৯ সালে। এই ফোনের পুরোটাতেই হীরের ছড়াছড়ি। এর কেসিং তৈরি করতে ২২ ক্যারেটের কাশ্মীর স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে। এর স্ক্রিনটিও পুরোপুরি হীরার। নেভিগেশন বাটনেও রয়েছে ৭.১ ক্যারেটের একটি হীরা। সব মিলিয়ে এর দাম পড়ে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বা ২৬ কোটি টাকারও বেশি।
03-কিংস বাটন আইফোন থ্রিজি ঃকিংস বাটন আইফোন এর নকশায় ছিলেন অস্ট্রিয়ার একজন অলংকারক ও নকশাকার। এটি তৈরি হয়েছে হোয়াইট গোল্ড, রোজ গোল্ড ও ইয়েলো গোল্ডের একত্র করে। ফোনটির মূল অপারেটিং বাটনেই ৬ দশমিক ৬ ক্যারেটের হীরা আছে। চারপাশে আছে হোয়াইট গোল্ডের বর্ডার এবং তার উপরে মোট ১৩৮টি ছোট হীরা বসানো হয়েছে। এর মূল্য ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২০ কোটি টাকা।
04-গোল্ডভিশ লা মিলিয়ন ঃসুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ডিজাইনার ইমানুয়েল গেট এই ফোনটি একটু অন্য আদলে তৈরি করেছেন। বর্তমানে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী মোবাইল ছিল এটি। সেই সুবাদে গিনেজ বুকে নামও লিখিয়েছিলো। মোট ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে এই ফোন তৈরি। এর বাইরের অংশে আছে মোট ১২০ ক্যারেটের ডায়মন্ড টুকরো। এর বর্তমান মূল্য ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১২ কোটি টাকা।

06-গ্রিসো লাক্সর লাস ভেগাস জ্যাকপট ঃফোনটি পুরোপুরি স্বর্ণের। ফোনের পিছন অংশে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কাঠ রয়েছে। এই কাঠ আজ থেকে ২০০ বছরের পুরনো, আফ্রিকান ব্যাকউডস নামে পরিচিত। সামনের স্ক্রিনে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৫ ক্যারেটের ব্ল্যাক ডায়মন্ড। এই ফোনের বাটনগুলো স্যাফায়ার ক্রিস্টালের তৈরি। ফোনটির ওজন প্রায় ১৮০ গ্রাম। মূল্য ধরা হয় ১০ লক্ষ ডলার বা প্রায় আট কোটি টাকা।

08-ব্ল্যাক ডায়মন্ড ভিআইপিএন স্মার্টফোন ঃজারেন গহ নামক একজন নকশাকার এই ফোনটি ডিজাইন করেছেন। এই ফোনটির নেভিগেশন বাটনে এব্ং ফোনের পেছনের অংশে দুটি হীরা রয়েছে। এত বেশ কিছু প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন-মিরর ডিটেইলিং, পলিকার্বনেট মিরর ও অর্গানিক এলইডি প্রযুক্তি। । এ ফোনটির মূল্য ৩ লক্ষ ডলার প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
09-আইফোন প্রিন্সেস প্লাস ঃঅ্যাপলের অন্যান্য আইফোনের মতোই ফিচারগুলো রয়েছে এর। এটির ডিজাইন করেছেন পিটার অ্যালয়সন। বিশেষ এই ফোনে ১৬ দশমিক ৫০ থেকে ১৭ দশমিক ৭৫ ক্যারেটের প্রায় ১৩৮টি প্রিন্সেস কাট হীরা আছে। আরো আছে ১৮০টি ব্রিলিয়ান্ট কাট হীরা। ফোনটির রিমের চারপাশে ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রলেপ রয়েছে। এর বর্তমান মূল্য ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ ডলার বা প্রায় দেড় কোটি টাকা।
10-ভার্চু সিগনেচার ডায়মন্ড ঃলাক্সারি মোবাইল পণ্য প্রস্তুতকারক হিসেবে ভার্চু ব্রান্ডটি সুপরিচিত। ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম তারা লাক্সারি ফোন তৈরি ও বাজারজাতকরণ শুরু করে। এ ব্রান্ডের ভার্চু সিগনেচার ডায়মন্ড ফোনটি তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাটিনাম ও ০ দশমিক ২৫ ক্যারেটের হীরা। আরও আছে মোট ২০০টি হীরা। পুরো হাতে তৈরি করা হয়েছে এটি। শুধুমাত্র কি-প্যাড তৈরির পেছনে প্রায় ৮ জন নকশাকার ৪ বছর ধরে কাজ করেছেন। ফোনটির বাজার মূল্য ৮৮ হাজার ডলার বা প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা।
( মোঃরাজিব ইসলাম সাদিক ,১৬নংওর্য়াড আওয়ামী যুবলীগ অনলাইন নিউজ পেপার )
No comments