মশাও মারতে পারছেন না মেয়র বুলবুল, অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী
শীতের প্রকোপ কাটতে না কাটতে গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহী নগরীতে ব্যাপক হারে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে বাসাবাড়িতে মশার কয়েল, স্প্রে, ইলেকট্রিক ব্যাট অথবা সিটি করপোরেশনের ফগার মেশিনের ধোয়া কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। কোনো এলাকায় মশারি টাঙানোর পরেও কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। আবার কোথাও দিনে-দুপুরেও মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। নগরবাসী অসহায়ের মতো মশাদের খাবারে পরিণত হচ্ছে। বাসিন্দাদের মতে এত মশা কখনো দেখেনি রাজশাহীর মানুষ।
মশার উৎপাত রাজশাহীবাসীর কাছে নতুন নয়। তবে এ বছরের ঘটনা, হার মানিয়েছে আগের সব উদাহরণকে। বাসাবাড়ি, বিভিন প্রতিষ্ঠানে মশার উৎপাত।
নগরবাসীর অভিযোগ, মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মশাও মারতে পারছেন না। এ কারণে বেড়েছে মশার উৎপাত। আর তাতে অতিষ্ঠ মানুষ।
রাজশাহী নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেক শুরু করে এমন কোনো এলাকা নাই, যেখানে মশার উপদ্রব ছাড়া এখন মানুষ একটু শান্তিত আছে। মশার অত্যাচার যেন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিন নেই, রাত নেই প্রতি মুহূর্তেই চলছে মশার অত্যাচার। বাসা-বাড়ি, অফিস, খেলার মাঠ- সর্বত্রই মশা আর মশা। মশার অত্যাচারে অস্থির হয়ে উঠেছে নগরবাসী।
রাজশাহীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, দিনেও মশা, রাতেও মশা। মশার যন্ত্রণায় অস্থির আছি। ভাত খেতে গেলেও মুখের মধ্যে মশা ঢুকে যাচ্ছে।
তেরোখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা আলি আকবর বলেন, মশারি থেকে একটু বের হলেই মশার ঝাঁক ঢুকে যাচ্ছে। পরে এক ঘণ্টা ধরে মশারির মধ্যে থাকা মশা মারতে হচ্ছে। না হলে ঘুমানোর উপায় থাকে না।
সাহেব বাজার এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন, এর আগে এত মশা কখনো দেখিনি বলে মনে হচ্ছে। কয়েল, মশারি ও ইলেক্ট্রি ব্যাট দিয়ে মশা মেরেও কাজ হচ্ছে না।
নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী ক্ষোভ প্রকাশ কর বলেন, এই মেয়র উন্নয়নও করতে পারে না, আবার মশাও মারতে পারে না। যার কারণে নগরবাসী এখন মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
এদিকে রাসিকের মশক নিধন দপ্তর জানায়, দুই বছর আগে রাসিক মশক নিধনের জন্য মেডিশিন কিনলেও সেটি এখন আর নাই। এ কারণে মশক নিধনেও নামতে পারছে না রাসিক। ফলে বেড়েছে মশার অত্যাচার।সুত্র:সিল্কসিটিনিউজ
No comments