মাথায় ফুটবল নিয়ে রাজশাহী নগরী চষে বেড়াচ্ছেন মাসুদ রানা!
কেউ ছুঁয়ে দেখছেন ফুটবল, কেউ বা মাথা। ফুটবল কিংবা মাথায় আঠা লাগানো নেই তো- এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। ফুটবল নিয়ে তাঁর নানা কারিশমায় মুগ্ধ সবাই। যখন তিনি মাথায় ফুটবল নিয়ে সজোরে মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে চলে গেলেন, তখন যেন সবাই থ মেরে তাকিয়ে আছে তার দিকে। কি করে সম্ভব, বাতাসকে কিভাব নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি? বাতাসে তো মাথার ফুটবলটি উড়ে যাওয়ার কথা, তাহলে উড়ছে না কেন? এমন নানা প্রশ্ন তখনো ঘুরপাক খাচ্ছিল এক ফুটবল জাদুকরকে নিয়ে। আর সেই ফুটবল জাদুকর হলেন যোশরের মাসুদ রানা। যাকে সবাই জানেন ফুটবল জাদুকর হিসেবে। সেই মাসুদ রানা এখন রাজশাহী ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর মাথায় ফুটবল নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গোটা নগরী।
সোমবার বিকেল মাসুদ রানা নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় ফুটবলের কসরত দেখান। আরো বিভিন্ন শারীরিক কসরত দেখিয়ে উৎসুক জনতাকে প্রায় আধা ঘণ্টা মাতিয়ে রাখলেন ‘ফুটবল জাদুকর’ মাসুদ রানা। পেলে কিংবা ম্যারাডোনাকে ছাপিয়ে মাসুদ রানার পাশে ‘ফুটবল জাদুকর’ নামটা বেশ বেমানান লাগে। কিন্তু ফুটবল নিয়ে কারিশমায় ওই দুই কিংবদন্তিকেও যেন ছাড়িয়ে গেলেন তিনি! অবশ্য তাঁদের মতো ১০ জনকে কাটিয়ে গোল দেওয়ার কৃতিত্ব নেই মাসুদ রানার।
মাথায় ফুটবল রেখে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতোই যেন অনেকে তাঁর পিছু ছুটলেন। পূর্বপরিচিতরা হাত মিলিয়ে বললেন, আপনি ‘ফুটবল জাদুকর’ মাসুদ রানা ভাই না। তেরোখাদিয়া মোড়ে শুরু হলো ফুটবল নিয়ে মাসুদ রানার শারীরিক কসরত। এরই মধ্যে শখানেক লোকের জটলা।
মাসুদ রানা কখনো ফুটবলটাকে মাথায় তুলছেন, আবার কখনো হাতে না ধরেই রাখছেন কাঁধে। মাথায় ও পিঠে বল রেখে গায়ের গেঞ্জিটা যখন খুলে ফেললেন তখন জনতার হাততালি। এরপর মোটরসাইকেলে চড়ে ফুটবল মাথায় রেখেই দেখালেন আরো শারীরিক কসরত। কখনো মোটরসাইকেলে শুয়ে পড়ছেন তো কখনো দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন, ফুটবল কিন্তু তাঁর মাথায়ই। স্থানীয় দুলাল হোসেন নামের এক চা ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাসুদ যা যা করছেন তা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। মাথায় ফুটবল নিয়ে গাছ থেকে তিনি যেভাবে নামলেন তা দেখে অবাক হওয়ারই কথা। এটা তাঁর সাধনার ফল।’
জানতে চাইলে ফুটবল জাদুকর মাসুদ রানা বলেন, তার বাড়ি যোশরে। সবাই তাকে ফুটবল জাদুকর নামেই ডাকে। তিনি ফুটবল নিয়ে চলাফেরা করেন। রাজশাহীতে তিনি বেড়াতে এসেছেন। কয়েকদিন থাকবেন।
সুত্র:সিল্কসিটিনিউজ
No comments